শিরোনাম প্রতিবেদন
প্রতিদিন গড়ে এক ডজনের বেশি ইয়াবা লাগে শাহিনুর ওরফে ফরমা শাহিনুরের। খুচরা হিসেবে যার বাজারমূল্য ৩ হাজার টাকা। সে হিসেবে মাসে প্রায় এক লক্ষ টাকার ইয়াবা সেবন করেন এই মহিলা। অথচ, প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা ছাড়া বাকি সময় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরঘুর করে সে। তাহলে এতো টাকা কোথা থেকে আসে?
জানা গেছে, বিভিন্ন স্পট থেকে চাদাঁ হিসেবে ইয়াবা ও নগদ টাকা পায় ফরমা শাহিনুর। আর এটাই তার রোজগারের মূলমন্ত্র। ছোট খাটো খুচরা মাদক বিক্রেতাদের প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করে। আর তার আড়ালে রাঘব বোয়ালদের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা মাশেহারা পায় সে। অন্যথায়, পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন এই মহিলা।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করার সুবাদে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে ফরমা শাহিনুর। অসংখ্য ওয়ারেন্টের আসামী, মাদক বিক্রেতা ও গা ঢাকা দিয়ে থাকা বিভিন্ন সন্ত্রাসীকে চুটকির মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করতে পারে সে। যার ফলে সোর্সদের মধ্যে পুলিশ শাহিনুরকেই বেশি বেছে নেয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার আর অবৈধ পন্থায় টাকা উপার্জন করছে শাহিনুর। এতে করে সদর ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাজা বিক্রেতা জানান, প্রতি সপ্তাহে শাহিনুর এসে টাকা নিয়ে যায়। তারপরেও হুটহাট বেশি টাকা চেয়ে বসে সে। যা দেয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। অনীহা প্রকাশ করলেই পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকী দেয়। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার পুলিশের কাছে ধরিয়েও দিয়েছে সে।
অন্য আরেক মাদক বিক্রেতা জানান, শাহিনুরের যন্ত্রণায় মাদক ব্যবসায়ি ছাড়াও ভালো মানুষ শান্তি মতো থাকতে পারে না। অসংখ্য মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার পরেও কোন কাজ না থাকলে ভালো মানুষকেও হয়রানি করে সে। পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে। মাসে তার আয়ের পরিমাণ অনেক।
ভুক্তভুগীদের মতে, সোর্স পুলিশকে তথ্য দিয়ে আসামী ধরতে সেই সাথে অপরাধ প্রবনতা কমাতে সহয়তা করে। তাই বলে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাঁ উত্তোলন করবে এ কেমন কথা। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার যোগদান করার পর থেকে এমনিতেই অপরাধীদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। বেড়েছে পুলিশী তৎপরতা। কমেছে অপরাধ প্রবণতা। তবে নগরীর কিছু জায়গায় কতিপয় মাদক বিক্রেতারা পর্দার আড়ালে ব্যবসা করে চলেছে। প্রশাসনের অর্জন করা এই সুনামকে অক্ষুন্ন রাখতে হলে অচীরেই ফরমা শাহিনুরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরী বলে মনে করছেন তারা